মে ত্বাং ইরানিশি জেবি 🙂
Book Cover Challenge #7th Day (Last Day)
স্বাগতম,
বুক কভার চ্যালেঞ্জের আজ আমার সপ্তম বা শেষ দিন । আজকে পড়েছি বাংলা একটা সয়েন্স ফিকশান বই [২০১৫ সালের দিকে একবার পড়েছিলাম] যেটা মাত্র ৮৮ পৃষ্ঠার । বইটা হল ডা. আনিস আহমেদ-এর লেখা “ইরানিশি” । তো এখন বইটা সম্পর্কে আমার মতামত তুলো ধরবো । আলোচনাটিতে স্পয়লার থাকতেও পারে ।
তো বইটি সম্পর্কে আমার মতামত হলো, অসাধারণ বই । আসলে বুঝতে পারছি না কি থেকে কি বলব । আমি মোটামোটি খুব কম সংখ্যক বাংলা বই পড়েছি । সেই দিক থেকে বলতে গেলে বইটি আসলেই আন্তর্জাতিক মানের । বইটা সায়েন্স ফিকশন হলেও এতে বাস্তবিক অনুভুতি রয়েছে, ইউ নো ওয়াট আই মিন 😉 । শুরুটা অনেকটা ধামাকাপূর্ন না হলেও প্রথম তৃতীয়াংশ থেকে মজা শুরু হয় । বইটা পড়ার সময় আপনাকে অবশ্যই প্লটগুলো ইমাজিন করতেই হবে, না করে থাকতেই পারবেন না । বিশেষ করে যে একটা ট্যুইস্ট আছে, তেমন বড় না হলেও এক্সপেক্টেশনের বাইরে অনেকটা । লেখক চাইলেই গল্পটা একটু বড় করে ট্যুইস্টটা একটু মজাদার করতে পারতেন । তবে শেষের দিকটা অনেকটা নিজের চিন্তার মত করেই শেষ হবে যেটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে । আমি তো পড়ার সময়ই চিন্তা করছিলাম, এভাবে যদি শেষ হতো ভালো হতো আর মজার ব্যাপার হলো সেভাবেই শেষ হয়েছে ।

কাহিনিটা অনেকটা এরকম, আরিয়ান জীবনে শান্তি আনার জন্য বিবাহ অধিদপ্তরে যায় বিয়ের অনুমতি নিতে । কিন্তু বিয়ের অনুমতি না পেয়ে প্রচণ্ড হতাশা আর বিরক্তি নিয়ে বাসায় ফেরে । বিবাহ অধিদপ্তরের প্রধান ওকে ডা. কোয়েলের সাথে দেখা করতে বলে । তখন আরিয়ান ভাবে বিয়ে করতে চাওয়া টাই কি মানসিক সমস্যা । কি এক যুগেই না সে বাস করছে । যে যুগে বিয়ের জন্য অধিদপ্তরের অনুমিত লাগে । রাগে
ফুসে উঠে আরিয়ান । বিজ্ঞানীরা পৃথিবী কে বয়স অনুসারে চারটি যুগে বিভক্ত করেছেন। চার যুগের শেষ যুগে আরিয়ান বসবাস করে । আরিয়ান ভাবে আরও একটি যুগের নামকরণের সময় এসেছে । এ যুগের নাম হবে রােবােজোয়িক যুগ । এইসব সাত পাঁচ ভাবতে ভাবতে সে পৌছে যায ডা. কোয়েল এর কাছে । ডাক্তারের সাথে কথা বলে আরিয়ান এক দুর্দান্ত কাজ পায় যার বিনিময়ে সে বিয়ের অনুমিত পাবে । পৃথিবীর মানুষের আমন্ত্রণে । তারাজু গ্রহ থেকে পৃথিবীতে আসা উর্বা ও তার সাথীদের কে বিজ্ঞান একাডেমীতে উপস্থিত করতে হবে আরিয়ানকে, কারণ একমাত্র তারই আছে অন্যান্য প্রাণী ও জীবজন্তুর ভাষা বোঝার ক্ষমতা । কিন্তু উৰ্বা ও তার দলকে ধরতে গিয়ে তাদের সাথে আরিয়ানের বন্ধুত্ব হয়ে যায় । তার কথায় আশ্বস্ত হয়েই বিজ্ঞানভবনে যায় উর্বারা । কিন্তু গিয়ে বন্দী হতে হয় এন্ড্রয়েড রোবটের হাতে । উবা আর আরিয়ান অসহায় হয়ে পরস্পরের দিকে শুধু তাকিয়েই থাকে। তারপর? সেটা আর বলবো না কারন তহলে অনেক ট্যুইস্ট নষ্ট হয়ে যাবে ।
০আমার নিজের চিন্তা (বিপরীত)
- বইটা গল্পের পরিধি হিসেবে অনেক ছোট ।
- শুরুটা জমাতে পারে নি লেখক । কিন্তু যে ধৈর্য ধরে পড়বে সে অনেক মজা পাবে ।
- শেষটা মনের মত হলেও, মিলিয়ে না দিয়ে কিছুটা আকাঙ্খা রাখা উচিৎ ছিল তাহলে পাঠক নিজের মত করে সেই বইয়ের কাহিনি বড়িয়ে নিয়ে নিজে বিনোদোন পেত এবং লেখকের বইটি কিছুটা প্রশংশা পেত ।
- মাঝের যেই বড় ট্যুইস্টাটা আছে সেটা লেখক সেভাবে জমাতে পারেনি ।
- আরিয়ানকে আরেকটা ভালোভাবে তুলে ধরলে ভালো হতো, যদিও সেটা গল্পের পরিবর্তন আনতো না তবুও গল্পটা আরেকটু প্রফেশনাল হতো ।
-এত ভালো একটা বইয়ের জন্য এত পচা একটা প্রচ্ছদ এটা ঠিক হয় নি । [তাই আমি নিজে একটা বানিয়ে সেটা দিলাম]
যাইহোক আমি অনেক মতামত দিয়ে ফেললাম । আমার বইটি পড়ে অনেক ভালো লেগেছে । ছোট বই তাই ধৈর্য কম হলেও এক বসাতেই পড়ে শেষ করে উঠতে পারবেন । ইন ফ্যাক্ট, আপনি তো তখন চাইলেও শেষ না করে উঠতে পারবেন না । তো বইটির জন্য আমার রেটিং ১৭, ২৮ এর মধ্যে ।
আমার চ্যালেঞ্জ শেষ । তবে বই হয়তো পড়া হবে । আর হিউজ থ্যাংস টু শূণ্য গণি ফর লেট মি পার্টিসিপেট ইন দিস্ চ্যালোঞ্জ ।
আডিওছ!
My Birthday
Love the song “I Knew You Were Trouble” by Taylor Swift
My thoughts on Ferris Bueller’s Mad Day (1986)
My Review on “Ulysses” by James Joyce
Mother Helped Me to Text
My Classic Review on “Happily Ever After” by Kiera Cass
ডা. আনিস আহমেদ-এর লেখা “ইরানিশি” বইয়ের পর্যালোচনা
“The Fault In Our Stars” by John Green